এ সময় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নষ্ট রাজনীতি নষ্ট মানুষের জন্ম দেয়, নষ্ট রাজনীতিকেরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে। বাংলাদেশের অবস্থা হয়েছে ঠিক তা–ই। এ তো বিভক্তি রাজনীতি! এর জন্য তো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি।
দেড় দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রাজনীতিতে ভালো মানুষের অভাব সম্পর্কে আরও বলেন, ‘আজকে রাজনীতিতে ভালো মানুষেরা আসতে চায় না। আজকে ভালো মানুষেরা, শিক্ষিত মানুষেরা, সৎ মানুষেরা, যোগ্য মানুষেরা রাজনীতির ধারেকাছেও নেই। আমরা যারা রাজনীতি করি, এই ব্যর্থতা, দায় আমাদের। এটা স্বীকার করতেই হবে।’
ছাত্ররাজনীতির সুনামের ধারা হারিয়ে গেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে একই অবস্থা আমাদের ছাত্ররাজনীতিতেও। ছাত্ররাজনীতি সুনামের ধারায় নেই। এখানে যাঁরা আছেন (৭০–এর দশকের সাবেক ছাত্রনেতা)। ছাত্ররাজনীতি করেছেন, সেই ধারাটি আজ কোথায় হারিয়ে গেল?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি মনে করি, খারাপ লোকের হাতে রাজনীতি থাকলে দেশটা খারাপ হবে। খারাপ লোকদের হাতে রাজনীতি থাকলে খারাপ লোকেরা মন্ত্রী হবে, এমপি হবে দেশ চালাবে, এতে দেশের ভালো হবে না। ভালো লোকদের রাজনীতিতে আনতে হবে, মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে, সৎ লোকদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। না হলে রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে, না হলে রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে। এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।’