Breaking News

মুন্সিগঞ্জে বিএনপির আরও ৯ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

বিএনপির আরও ৯ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ সদর, শ্রীনগর, সিরাজদিখান ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিরাজদিখানের রাজানগর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, শ্রীনগরের বারইখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আক্তার হোসেন শেখ, শ্রীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মতি ভূইয়া, শ্রীনগর কৃষক দলের সাবেক সহসভাপতি মো. খলিল, ষোলঘর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিন রানা, যুবদল নেতা অপু মৃধা। এ ছাড়া সদর উপজেলার শিলই এলাকা থেকে দুজন ও টঙ্গিবাড়ী থানা এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের করা নাশকতার মামলায় এই ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার ভোর পর্যন্ত থানা-পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে গত চার দিনে জেলায় বিএনপির অন্তত ৩০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মুন্সিগঞ্জ শহর বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ইরাদত মানু প্রথম আলোকে বলেন, অবৈধ সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ভয় পাচ্ছে। একদিকে সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে, অন্যদিকে সমাবেশে লোকসমাগম বাধাগ্রস্ত করতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দিয়ে হামলা-মামলার নাটক করে যাচ্ছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে। সাধারণ মানুষও এসব মামলায় হয়রানি ও গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন। গতকাল রাতেও জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব প্রথম আলোকে বলেন, যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিভিন্ন থানায় বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছিল। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এসব মামলায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান থাকবে। তবে কোথাও কোনো সাধারণ মানুষকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে কয়েক দিনে জেলার ছয়টি উপজেলায় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নাটক সাজিয়ে বিএনপির ৫০০-৬০০ নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এর আগেও বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে নেতা-কর্মীরা যাতে যেতে না পারেন, সে জন্য এসব মামলায় তাঁদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্রেপ্তার এড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন বলে দাবি করছেন তাঁরা।

About Saimur Rahman

Check Also

সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পোশাক পরে ডাকাতি

ফরহাদ হোসেন মজুমদার: রাজধানীতে মোহাম্মদপুরে সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের পোশাক পরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংঘবদ্ধ …

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত আটক

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার …

এক সপ্তাহের মধ্যে মেট্রোরেল চালুর প্রস্তুতি

সাইমুর রহমান: আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। তবে ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *